প্রচলিত সিগারেট বা তামাকজাত পণ্যের চেয়ে ই-সিগারেটে স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক কম বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের অন্যতম শীর্ষ সংস্থা ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। ভেপিং বা ভেপিংয়ের লিকুইডে যে ফ্লেভার ব্যবহার করা হয় তাও তুলনামূলক বেশি নিরাপদ। ভেপিংয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি, প্রচলিত সিগারেট ছাড়ার ব্যাপারে এর ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদন দিয়েছে বিএমএ।
প্রচলিত সিগারেট এবং ভেপিংয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি তুলনা, ভেপিংয়ে ব্যবহৃত ফ্লেভারের স্বাস্থ্যগত প্রভাব পর্যালোচনা এবং ধূমপান ছাড়ার ক্ষেত্রে এর সহায়ক ভূমিকা সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার লক্ষ্যেই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। বিএমএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রমেই গবেষক, চিকিৎসক, ব্যবহারকারী এবং ভেপিং খাতসংশ্লিষ্টরা একমত যে প্রচলিত সিগারেট বা তামাকজাত পণ্যের চেয়ে ভেপিংয়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক কম।
প্রতিবেদনে ২০১৫ সালের পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের বরাত দিয়ে বলা হয়, প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় ভেপিং ৯৫ শতাংশ নিরাপদ। কারণ প্রচলিত সিগারেটে থাকে তামাকের উচ্চমাত্রার ব্যবহার। আর ভেপিং মূলত নিকোটিননির্ভর। যুক্তরাজ্যে নানা পর্যালোচনা, পর্যবেক্ষণ, বিধি-বিধান ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভেপিং উৎপাদন ও বাজারজাত করা হয়। যথাযথ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা থাকায় সেখানে মানহীন ভেপিং ভোক্তাদের কাছে যাওয়ার সুযোগ খুব কম। এ ছাড়া সর্বশেষ উপাত্তে বিএমএ বলছে, যুক্তরাজ্যে ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করা ৩৪ শতাংশ ব্যক্তি ভেপিংয়ের সহায়তা নিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ভেপিংয়ে ব্যবহৃত ফ্লেভার মূলত নিরাপদ খাদ্যসামগ্রী থেকে তৈরি। ফলে তা তামাকের চেয়ে বেশ নিরাপদ বলে প্রমাণিত। এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণায় এসব ফ্লেভারে স্বল্প মেয়াদে কোনো ক্ষতিকর প্রভাবের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানাচ্ছে বিএমএ।
বাংলাদেশের অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মনে করেন, দেশে ধূমপান কমানোর ক্ষেত্রে ভেপিং কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার ক্রমেই কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।