সিগারেটে আসক্তি কাটাতে অনেকে ভেপিং, নিকোটিনযুক্ত প্যাচ বা চুইংগামের সাহায্য নেয়। বিভিন্ন দেশে চিকিৎসকরাও এসবের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে প্যাচ বা চুইংগামের তুলনায় ভেপিং বেশি কার্যকর এবং নিরাপদ। সপ্রতি কয়েকটি গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন দেশের ৫০টি গবেষণা পর্যালোচনা করে গবেষকরা বলছেন, ধূমপান ছাড়তে ভেপিং অন্য পদ্ধতিগুলোর তুলনায় বেশি কার্যকর। যুক্তরাজ্যের ককরেন টোব্যাকো এডিকশন গ্রুপের বিশেষজ্ঞ জেমি হার্টম্যান বয়েচ এই গবেষণার অন্যতম গবেষক ছিলেন। তিনি বলেন, নিকোটিনযুক্ত প্যাচ বা চুইংগামের তুলনায় ভেপিং বেশি কার্যকর ও নিরাপদ এবং ধূমপানের আসক্তি ছাড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক, বিভিন্ন গবেষণায় এই প্রমাণই পাওয়া গেছে।
ককরেন টোব্যাকো এডিকশন গ্রুপ বিভিন্ন দেশের সেরা গবেষণাগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে এবং স্বাস্থ্য খাতে এর প্রভাব মূল্যায়ন করে। এক দশক ধরে বাজারে আছে ই-সিগারেট এবং ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যুক্তরাজ্যে চিকিৎসকরাও ধূমপান ছাড়ার জন্য ভেপিংয়ের সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেন।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, অর্ধেক ব্যবহারকারীই তামাক বা তামাকজাতীয় দ্রব্য গ্রহণের কারণে মারা যান। গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রে ফুসফুসজনিত রোগে কিছু মানুষের মৃত্যুর পর ভেপিং নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। অনেকে তখন এসব মৃত্যুর কারণ হিসেবে ভেপিংকে দায়ী করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ গত ফেব্রুয়ারিতে ভেপিংয়ের বিভিন্ন ফ্লেভারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে মেনথল, মিন্টি এবং বিভিন্ন ফলের ফ্লেভারযুক্ত লিকুইড ভেপিংয়ে ব্যবহার করা যাবে না। তবে পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে, এসব মৃত্যুর পেছনে ভেপিং দায়ী নয়, বরং বাজারের নিম্নমানের লিকুইড দায়ী। জেমি হার্টম্যান বলেন, বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, ভেপিং প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় অনেক কম ক্ষতিকর। তিনি বলেন, ভেপিংয়ের ক্ষতিকর প্রভাবও বহুলাংশে কম, পর্যালোচনায় সেটা ফের উঠে এসেছে।