ভেপিং সামগ্রীর জন্য বাস্তবসম্মত বিধিমালা প্রণয়নের আহ্বান

উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে ধূমপান নিরসনের বিকল্প হিসেবে ভেপিং সামগ্রীর মতো নিরাপদ পণ্যের সরবরাহ এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনায় টোব্যাকো হার্ম রিডাকশন (টিএইচআর) স্ট্রাটেজি অন্তর্ভূক্তকরণের জন্য নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ২৮ মে বিশ্ব ভ্যাপ দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে রাজধানীর এক হোটেলে ভয়েস অব ভেপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘দি নিড ফর টোব্যাকো রিডাকশন স্ট্র্যাটেজি: এচিভিং দি গভর্নমেন্ট’স হেলথ এজেন্ডা অ্যান্ড রেভিনিউ অ্যাম্বিশনস’ শীর্ষক একটি প্যানেল ডিসকাশনে এসব কথা বলেন বক্তারা।

প্রেসিডেন্ট অব হেলথ ডিপ্লোমেটস এবং হার্ম রিডাকশন বিশেষজ্ঞ ডা. ডেলন হিউম্যান বলেন,বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে একটি উদ্যমী দেশ হিসেবে পরিচিত, যে দেশ কঠোরভাবে তার সমালোচকদের জবাব দেয়। ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশ তার অদম্য শক্তি দিয়ে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি আমুল বদলের মাধ্যমে জনগণের অধিকার সংরক্ষণে সচেতন। দেশের সব খাতেই অসাধারণ অগ্রগতি এরই প্রতিফলন। তিনি বলেন,আমার বিশ্বাস  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি তামাকমুক্ত দেশ হিসেবে দেখতে চান। কিন্তু এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি কার্যকর হার্ম রিডাকশন স্ট্রাটেজি প্রয়োজন যা বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ বাস্তবায়ন করেছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ভেপিংয়ের মতো বিকল্প পণ্যের সহায়ক বিধি প্রণয়ণ এবং যারা ধূমপান ছাড়তে চান তাদের কাছে এটি সহজলভ্য করা। পরিমিত ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পের মতো এর নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ধূমপান ছাড়ার উপযোগী সামগ্রী হিসেবে ভেপিংকে তুলে ধরতে হবে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তিন জন ডিরেক্টর-জেনারেল এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের গ্লোবাল পাবলিক হেলথ স্ট্রাটেজির একজন পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. ডেলন। তিনি ওয়ার্ল্ড মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিওএমএ) সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ নিউট্রিশনের প্রধান ফ্যাকাল্টি মেম্বার ড. আলতামাশ মাহমুদ একই কথা বলেন।