ধূমপানের হার কমাতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তাতে আশানুরূপ ফল আসছে না। কিন্তু ধূমপানের ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ভেপিং একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি। এই প্রযুক্তি সম্পর্কে মানুষকে জানাতে গণমাধ্যম ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। আর এজন্য প্রয়োজন গবেষণাভিত্তিক তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ধূমপানমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রচারণা ছাড়া এ উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সম্প্রতি তারা এসব মতামত ব্যক্ত করেন।
জানা গেছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ভেপিং করার কারণে মৃত্যু নিয়ে কিছু প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে এই প্রতিবেদনগুলোতে সঠিক তথ্য উঠে আসেনি। পরে যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ সংস্থার তথ্যে ভেপিংয়ের কারণে নয়, এর সঙ্গে অন্য রাসায়নিক পদার্থ মেলানোর কারণে এসব মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে এনাম মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মিথুন আলমগীর বলেন, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে ভেপিং নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণা এখনও চলছে। এতে দেখা গেছে, ভেপিং ধূমপান প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমে ভুল প্রতিবেদন এসেছে বলে জানান তিনি।